
ই-কমার্স কোম্পানি কিউকমের বিক্রয় প্রধান (যোগাযোগ ও জনসংযোগ) হুমায়ুন কবির নিরব ওরফে আরজে নিরবকে প্রতারণার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে কোম্পানির প্রেসিডেন্ট রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি। আজ শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের এডিসি হাফিজ আল ফারুক।।
তিনি বলেন, আরজে নিরব কিউকমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একজন ভিকটিম গতরাতে তেজগাঁও শিল্প এলাকা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আজ সকালে রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর দুপুরে আরজে নিরবকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে আরজে নিরবের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক রুহুল আমিন। তবে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
তেজগাঁও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলা অনুসারে, আরজে নির্বরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। তিনি কিউকমের প্রতারণার মূল পরিকল্পনাকারী। তার পরামর্শে কোম্পানির সিইও মো। রিপন মিয়া গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন।
আরজে নীরব গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অফার এবং স্কিম সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে দিতে তার পরিচয় ব্যবহার করেছেন। তার প্রচারণায় প্রলুব্ধ হয়ে গ্রাহকরা লাখ লাখ টাকার মূল্যের পণ্য অর্ডার করেছে। কিন্তু যখন গ্রাহকরা পণ্য অর্ডার করে, তখন তারা দুর্ভাগ্যের মধ্যে পড়ে। কোম্পানি গ্রাহকদের অর্থ প্রদান করে না, বিপরীতভাবে, এটি তাদের অর্থ ধরে রাখে।
গত ৪ অক্টোবর ডিএমপির পল্টন থানায় কিউকমের সিইও মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে ডিএমপির পল্টন থানায় এক ভুক্তভোগী গ্রাহক একটি মামলা করেন। দুই ধারায় মামলাটি হয়। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অপরটি প্রতারণা। পরে এ মামলায় মো. রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তাকে গ্রেফতারের পর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারির ২৫০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কিউকম। যদিও এস্ক্রো সিস্টেমের (Escrow System) মাধ্যমে গেটওয়ে পেমেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা তৃতীয় পক্ষ প্রতিষ্ঠান ফস্টারের কাছে কিউকমের গ্রাকদের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে আছে।